google-site-verification=MxUrwKrjcLdPO1l6VaEWkjjCf959Ve6Tb0c-OfYMOYw Najmul Hoque

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

c lunguage loop print prime numbers.

#include<stdio.h>

int main()
{
int i,n,l,u,p,sum;

    printf("enter lower & upper limit");
    scanf("%d%d",&l,&u);
    for(n=l;n<=u;n++)
    {
    p=0;
    for(i=2;i<n;i++)
    {
    if(n%i==0)
    {
    p=1;
    break;
    }
    }
   
    if(p==0)
    {
    printf("%d\n",n);
   
    }
   
     }
    return 0;
}

বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সম্মান,মধুমিতা

                                   সম্মান

                                মধমিতা


সান্ধ্যভ্রমন সেরে এসে অনীবাবু সোফায় বসে হাঁক দেন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে--

-----এক কাপ চা দাও তো।

চায়ের কাপ হাতে ঘরে ঢোকেন গীতাদেবী। অবনীবাবুকে চায়ের কাপটা দিয়ে নিজেও এক কাপ চা নিয়ে বসে পড়েন অবনীবাবুর পাশে। সেন্টার টেবিলে রাখা খামটার দিকে চোখ পড়তেই গীতাদেবী বলেন----

------এটা নাও, তোমার এক ছাত্র দিয়ে গেল। তোমার খোঁজ করছিল, তুমি নেই শুনে আমার হাতেই দিয়ে গেল।বলে গেল কাল গাড়ী আসবে তোমায় নিতে , তুমি যেন রেডি থাকো।

-----গাড়ী আসবে আমায় নিতে? কিন্তু আমি যাবো কোথায়?

----তা তো কিছু বলেনি।খুলে দেখোই না খামটা, ভেতরে কী লেখা আছে।

-----ছেলেটি নিজের কিছু নাম বলেছিল?

------বললো তো ওর নাম রঞ্জন।


কোন রঞ্জন মনে করতে পারলেন না।উৎসুক হয়ে খামটা খোলেন। দেখেন ভেতরে একটা নিমন্ত্রণ কার্ড। বাইপাসের ধারে একটা ফাইভ স্টার হোটেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

------কী গো কিসের কার্ড।

------একটা ফাইভ স্টার হোটেলের উদ্বোধনীঅনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ কার্ড। বুঝতে পারছি না এইরকম একটা অনুষ্ঠানে আমাকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল।ওই ধরনের অনুষ্ঠানে তো আমি বড্ড বেমানান।কার্ডটা গীতা দেবীর হাতে দিয়ে বলেন----

-------অতিথিদোল নামগুলো একবার দেখো।

-----বাবা,এতো দেখছি সবাই শিল্পপতি। বাংলা সিনেমার বিখ্যাত একজন নায়কের নামও আছে যে গো।

-------সেইজন্যই তো ভাবছি এইরকম একটা ঝলমলে অনুষ্ঠানে আমার মত একজন গ্রাম্য শিক্ষককে কেন ডাকা হল। আচ্ছা ভুল করে দিয়ে যায়নি তো?  

হয়তো ঠিকানাটা ভুল করেছে।


অবনীবাবু দীর্ঘ চল্লিশ বছর গোবিন্দপুর আদর্শ বিদ্যানিকেতনে চাকরি করার পর রিটায়ার্ড করেছেন বছর দুয়েক হল।ব্লকের মধ্যে একটামাত্র হাইস্কুল হওয়ায় পাশিপাশি গ্রাম থেকে অনেকেই পড়তে আসত। তাঁর অনেক ছাত্রছাত্রীই বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।দু'একজন তো বিদেশেও আছে। খুব ভালো লাগে উনার যখন ছেলেমেয়েরা নিজেদের সাফল্যের কথা এসে বলে যায়।দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলেন----

------তোমরাই তো আমার গর্ব, আমার অহংকার। তোমাদের মধ্য দিয়েই তো আমি বেঁচে থাকবো।


যখন অবনীবাবু ক্লাস এইটে পড়তেন তখনই উনার আদর্শ ছিলেন উনার প্রিয় শিক্ষক প্রবীরবাবু। তাঁকে দেখেই উনি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।


 কলকাতার এক বনেদি বংশে জন্ম উনার।বাবা-কাকারা সবাই হয় ডাক্তার নয় উকিল। ভাইয়েরা সবাই উচ্চপদস্থ অফিসার। তাঁদের বংশের একমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউই শিক্ষক নন। সেই জন্য তিনি ছিলেন ভাইদের হাসির খোরাক।একে তো শিক্ষক তায় আবার গ্রামের স্কুলের।আড়ালে সবাই তাঁকে লুজার বলত।তাই নিয়ে কোন ক্ষোভ অবশ্য তাঁর কোনদিনই ছিল না।নাই বা থাকল বড় বাড়ি-গাড়ি, নিজের হাতে গড়া রত্নদের দেখলেই মনটা এক অপার তৃপ্তিতে ভরে যায়।


গোবিন্দপুর কলকাতা থেকে বেশী দূর না হলেও বিয়ের পর ওখানেই ছোট একটা বাড়ী করে পাকাপাকি ভাবে থেকে যান অবনীবাবু।


গোবিন্দপুর আদর্শ বিদ্যানিকেতনের অংকের শিক্ষক ছিলেন অবনীবাবু।যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী অংককে জটিল বিষয় হিসেবে ভাবত তাদের খুব সহজেই বুঝিয়ে দিতেন। কীভাবে বোঝালে ছেলেমেয়েরা সহজেই বুঝবে তাই নিয়েই ভাবতেন দিনরাত্রি। সংসারের প্রতি বিন্দুমাত্র মনযোগ ছিল না তাঁর।মাঝে মাঝেই ছেলেমেয়েদের নিজের বাড়িতে ডেকে নিতেন আর ঘন্টার পর ঘন্টা চলত অংক বোঝানো। গীতাদেবী মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে বলতেন---

------তোমার কী অংক ছাড়া ভাববার আর কোন বিষয় নেই। সংসারটা তো ভেসে যাবে। আমি একা পারবো না সব সামলাতে। একদিন সব ছেড়ে ছুড়ে যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাবো।

বলতেন বটে তবে মনে মনে খুব খুশি হতেন। ছেলেমেয়েগুলোকে যে উনি নিজেও খুব ভালোবাসতেন।


নিজের কোন ছেলে-মেয়ে ছিল না উনাদের।প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীই ছিল তাঁদের সন্তানতুল্য। রিটায়ার্ডমেন্টের পর এখনও ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাঁর বাড়ির দরজা সবসময় খোলা।


বিছানায় শুয়ে শুয়ে তিনি রঞ্জনের কথা ভাবতে থাকেন। স্মৃতিশক্তি হাতড়েও খুঁজে পেলেন না রঞ্জনকে।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও যে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে তা তিনি বেশ বুঝতে পারছেন।আগে হলে একবার নাম বললেই ঠিক চিনে নিতেন। স্কুলের প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর নাম ছিল মুখস্থ।


বিছানায় শুয়ে অবনীবাবুকে উসখুস করতে দেখে গীতাদেবী বলেন----

------এবার একটু ঘুমোও তো। কালকের কথা কাল ভাববে।


পরদিন বিকেলে আর বেরোলেন না অবনীবাবু। অপেক্ষা করতে থাকলেন কখন গাড়ী আসবে। পাঁচটা বেজে যাওয়ার পরও যখন গাড়ী এলো না,তখন অবনীবাবু বললেন-----

------দেখলে গিন্নী বললাম না ভুল করে কার্ডটা দিয়ে গেছে। 

ঠিক সেই সময়ই গাড়ীর হর্ণ বেজে ওঠে।। গাড়ী থেকে একটি ছেলে নেমে এসে অবনীবাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলে-----

-------আপনি নিশ্চয় অবনীবাবু। আমাদের স্যার মানে রঞ্জন বাবু আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন। ওদিকে কাজের ঝামেলা থাকার জন্য স্যার নিজে আসতে পারলেন না।ম্যাডামকেও বলুন রেডি হতে।

 অবনীবাবু হ্যাঁ করে তাকিয়ে থাকেন ছেলেটির দিকে। 

এই নিন কথা বলুন স্যারের সাথে বলে ফোনটা এগিয়ে দেয় অবনীবাবুর দিকে।

------স্যার আমি রঞ্জন বলছি। খুব ব্যস্ততার জন্য আমি নিজে যেতে পারলাম না,তাই ম্যানেজারকে পাঠিয়েছি। কিছু মনে করবেন না স্যার।আপনি কাকীমা কে সঙ্গে নিয়ে আসূন।কোন অসুবিধা হবে না। রাত্রিতে আমার গাড়িই আপনাদের আবার পৌঁছে দেবে।

অনেক প্রশ্ন মনে নিয়েই রেডি হন দুজনে।


গাড়ী একটা বিশাল ফাইভস্টার হোটেলের সামনে এসে দাঁড়ায়।গোটা হোটেলটাকে রঙিন আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সামনের লনটাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ঝলমলে পোষাকে সুসজ্জিত সবাই।ঝাঁ চকচকে গাড়ীগুলো সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।বড্ড বেমানান লাগছিল নিজেদের।


গাড়ী এসে থামতেই স্যুট-টাই পরা একটি ছেলে দৌড়ে এসে গাড়ীর দরজাটা খুলে উনাদের নেমে আসতে বলে। গাড়ী থেকে নামতেই ছেলেটি উনাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বলে----

------স্যার আমি রঞ্জন।চিনতে পারছেন?

------না, আসলে বয়স হচ্ছে তো তাই স্মৃতিশক্তিটাও কমে আসছে।

------ঠিক আছে স্যার আগে বসুন, অনুষ্ঠানটা শুরু হোক তারপর আমার কথা বলবো।

রঞ্জন উনাদের নিয়ে গিয়ে মঞ্চে বসায়।


সঞ্চালক ঘোষণা করেন,---

------যাঁদের জন্য আমরা অপেক্ষা করে ছিলাম,তাঁরা উপস্থিত হয়েছেন আমাদের মধ্যে। এইবার আমরা অনুষ্ঠানটা শুরু করবো তবে তার আগে আমি 'রয় এণ্ড সন্স' এর কর্ণধার মিঃ রঞ্জন রায়কে দুচার কথা বলার জন্য অনুরোধ করবো।

মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে রঞ্জন বলতে শুরু করে-------

 

আমি গোবিন্দপুর আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র ছিলাম। আমার বাবা ছিলেন ওই এলাকার একজন বড় ব্যবসায়ী।টাকার কোন অভাব ছিল না আমাদের। ফলে যা হয় -- পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ একেবারেই ছিল না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে আর খেলাধূলা করেই সময় কাটাতাম। বই খুললে বিশেষ করে অংক বই খুললেই ঘুম পেত। স্কুলে একেবারেই পড়া পারতাম না। স্যারেদের কাছে বকুনি খাওয়াটা ছিল রোজকার ব্যাপার। সবাই বলত বড়লোকের বখাটে ছেলে।বাবার টাকা ওড়ানো ছাড়া আর কিছুই হবে না আমার দ্বারা। আমারও মনে হত বাবার এত টাকা যখন আছে তখন পড়াশুনা করার কী দরকার।


স্যার যাকে আপনারা মঞ্চে দেখছেন উনিই আমাদের অংক নিতেন। একদিন স্যার আমাকে বোর্ডে একটা অংক করতে বললেন। পারলাম না।স্যার না পারার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলেছিলাম আমার অংক করতে ভালো লাগে না।স্যার আমাকে উনার বাড়ি যেতে বললেও যাইনি। 


একদিন দেখলাম উনি আমার বাড়ীতে বসে বাবার সাথে গল্প করছেন। খুব রাগ হল।মনে মনে বললাম, বাবার কাছে নালিশ জানানো--তোমার ব্যবস্থা আমি করছি।আমি পড়লাম বা নাই পড়লাম তাতে তোমার কি?স্যারের ক্লাস থাকতো ফার্স্ট পিরিয়ডে। পরদিন স্যার ক্লাসে ঢোকার আগে অনেকটা কালি ছিটিয়ে দিয়েছিলাম চেয়ারে। আমাকে সবাই ভয় পেত বলে কেউ মুখ খোলেনি। না দেখে বসার ফলে সাদা ধুতিতে কালির ছোপ পড়ে যায়। খুব হেসেছিলাম সবাই মিলে।

সেদিনও বাড়ি ফিরে দেখি স্যার বসে আছেন। খুব রাগ হল। আবারও নালিশ করতে এসেছে। এতেও শিক্ষা হয়নি।কাল তাহলে আর একটু কড়া ডোজ দিতে হবে। ঘরের ভেতর ঢুকতেই বাবা বলল----

------স্যার তোকে পড়াতে এসেছেন।

মুখের ওপর না বলার ইচ্ছে থাকলেও বাবার কাছে মুখ খুললাম না। মনে মনে ভাবলাম তুমি তো আমায় শেখাবে কিন্তু আমি কী আর শিখবো। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বসলাম স্যারের কাছে।স্যার যা বোঝাচ্ছেন তার কিছুই আমি শুনলাম না। বরং ইচ্ছে করেই ঢুলতে থাকলাম। একদিন-----দুদিন------কয়েক দিন যাবার পর স্যার অন্য পদ্ধতি নিলেন।তখন বুঝতে না পারলেও পরে বুঝেছিলাম।

স্যার একদিন বললেন---

------বড় হয়ে কী হতে চাস।

নির্দিধায় বললাম কী আবার করবো,বাবার ব্যবসা দেখবো।

------তাহলে তো হিসেবে-নিকেশটা সুন্দরভাবে শিখতে হবে।

------ও আমি পারি।

------বাহ্,তবে তাই করে দেখা।আজ থেকে তাহলে বইয়ের অংক বাদ।

স্যার বেশ কিছু অংক কষতে দিলে আমি তা মুহূর্তেই করে দিই। এভাবে অংক কষতে কষতে একদিন অংক টাকেই ভালোবেসে ফেললাম। শুধু অংক নয় মনে মনে স্যারকেও ভীষণ ভালোবেসে ফেললাম।স্যারের হাত ধরেই আস্তে আস্তে বইয়ের কালো অক্ষর গুলোর প্রতি টান অনুভব করলাম।সেবারের পরীক্ষাতে অংকে ফুল মার্কস সহ অন্যান্য বিষয়েও বেশ ভালো নম্বর পেলাম। মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করার পর চলে এলাম কলকাতায় মামাবাড়িতে।


 পড়ানোর সময়ই স্যার একদিন বলেছিলেন, প্রত্যেকটি মানুষেরই উচিত নিজস্ব আইডেন্টিটি গড়ে তোলা।

ওটা না থাকলে একটা মানুষের আর থাকলটা কী?বাবার হয়তো অনেক সম্পত্তি থাকবে, কিন্তু তুমি নিজে যদি কিছু না করো তাহলে তো তোমাকে দেখে ভবিষ্যত প্রজন্ম হাসবে। তোমার দিকে আঙুল তুলে বলবে,'ওই দ্যাখো একটা অপদার্থ লোক যাচ্ছে।'


কথাগুলো খুব ভাবিয়ে ছিল আমায়।যে ছেলেটার একসময় অংক ভালো লাগতো না সেই ছেলেটাই স্ট্যাটিকটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে বাবার তৈরি করা চারাগাছ টাকে যত্ন করে বড় করে তোলে যা আজ বনস্পতির আকার নিয়েছে।


শুধু তাই নয় 'রয় এণ্ড সন্স' নামে একটা নতুন কোম্পানি খুলেছে যার পথ চলা শুরু আজ থেকে।আর এই শুরুটাই সে করতে চায় তার প্রিয় স্যারের হাত ধরে। তাই স্যারকে অনুরোধ করবো, স্যার আপনি এই হোটেলের ফিতা কেটে আমায় আশীর্বাদ করুন যাতে আমি অনেকটা পথ চলতে পারি।


মঞ্চে উপবিষ্ট অবনীবাবু আর গীতা দেবীর চোখে তখন জল টলটল করছে। প্রথমে যে রঞ্জন কে চিনতে পারেনি এখন তাকে স্পষ্ট মনে করতে পারছেন।তখন কত রোগা ছিল,ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল ছিল আর এখন সে তো পুরোপুরি জেন্টেলম্যান। তাছাড়া তখন অবনীবাবু ওকে রণ বলে ডাকতেন।ওর ভালো নাম যে রঞ্জন তা ভুলেই গিয়েছিলেন।

রঞ্জন এসে আবারও পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে।


মঞ্চে উপবিষ্ট বিশিষ্ট অতিথিরা তাঁকে প্রণাম করতে এলে তিনি 'না-না' বলে পাদুটো সরিয়ে নেন।বলেন----

------আপনারা কত সম্মানীয় ব্যক্তি। আপনারা আমার পা ছোঁবেন না।

তাঁদের মধ্যে একজন বলেন----

------স্যার, আপনারা না থাকলে আমরা কী আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম। আপনাদের আশীর্বাদ যে সবসময় আমাদের পাথেয়।


রঞ্জন স্যারের হাত ধরে নিয়ে যায় হোটেলের মূল দরজার সামনে।স্যারের ফিতা কাটার মধ্য দিয়েই শুরু হয় 'রয় এণ্ড সন্স' কোম্পানির কর্ণধার মিঃ রঞ্জন রায়ের নতুন পথ চলা। 


বাড়ি ফিরে অবনীবাবু গীতা দেবীকে বলেন---

-----জানো গিন্নী আজ মনে হচ্ছে আমি লুজার নাই, লুজার ওরা।এত সম্মান, এত ভালোবাসা যে মানুষ পায় সে আর যাই হোক লুজার হতে পারে না।

বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

prokritir icche





ইচ্ছে হয় সুদূর সমুদ্রে পাড়ি দিতে!

ইচ্ছে হয় গভীর অরণ্যে হারিয়ে যেতে !


কেন? আজ  নিরর্থক সব ইচ্ছে আকাঙ্খা 

 স্বপ্ন পূরণে কেন ? করতে হবে অপেক্ষা 


কেন প্রকৃতি দিচ্ছেনা আমার সঙ্গ ,

আমার সব স্বপ্ন হয়েযাবে কী ভঙ্গ।


হয়তো এইটুকু আমাদেরই চাওয়া বা পাওনা মাত্র,

এ আমাদের কর্ম ফল,আমরা এর যথাযগ্য পাত্র।


মানুষ্ আজ শৃনখল বদ্ধ তবুও হইনি তাঁরা ক্ষান্ত,

তাঁদের দেহে প্রাণ থাকতে হবেনা পৃথিবীটা শান্ত।


প্রকৃতির ওপর করছি আমরা কতই না অনাচার!

একবারও ভাবিনা আমরা  এযে চরম অবিচার!


তাই প্রকৃতি আজ নিচ্ছে ,বদলা নয় বদল।

ভেঙে ফেলছে আজ সব বাধা আর শৃনখল 





রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১

জীবনের সত্যতা

 কারো পাজেরো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! 

কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।


কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।


কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!


কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।


কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির বারবার গন্ধ শুঁকছে।


কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।


কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।


কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে 

করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!


কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।


সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি...! জীবনের নিজস্ব আলাপনে, বাস্তবতার হাত ধরে!!

(#হুমFM)

শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

The wall food

 ইতালির এক resturent এ আমি আর আমার বন্ধু খাবার খাছছিলাম এমন সময় এক ভদ্রলক এসে অয়েটার কী সম্মধন করে বল্ল দুজনের খাবার ,বলে সে রিসেপ্সান গিয়ে কী কী খাবে বলে তাঁরসংগে বিল তাও মিটিয়ে দিয়ে এসে টেবিলে বসে ।তারপর অয়েটার তাঁকে এক জনের খাবার পরিবেশন করে ,এবং তা সম্পন্ন করে অয়েটার কি যেন সম্মধন করে বেরিয়ে গেল ।অয়েটার তাঁর বেরিয়ে যাবার পর রিসেপসান এর পাসে দেওয়ালে একটি কাগজে কী লিখে  টাঙিয়ে দিল। আমরা যেন কিছু বুঝতে পারছিলাম না যে সেই বাক্তি দুই জনের খাবার oder করল কিন্তু তাঁর সঙ্গে কেউ খেলনা বা সে খাবার বাড়িও নিয়ে গেলনা ,আর অয়েটারকে কিবা সম্মধন করে গেল ।তারপর আমরা আমাদের বিল মিটিয়ে সেখান থেকে চলে আসি ।কিছু দিন যাওয়ার পর আমার বন্ধু আবার সেই রেস্টুরেন্টে যাবার জন্য অনুরোধ করল,এই দিন এসে আমরা যা দেখলাম ,এক ভিখারি রেস্টুরেন্টে ঢুকে অয়েটার কী জিজ্ঞেস করল দেওয়ালে কী কোনও খাবার আছে ?অয়েটার বলল আছে ,দেওয়ালের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজের পসন্দ মতো খাবার oder দিয়ে আসন গ্রহণ করে  সেই ভিক্ষুক।অয়েটার তাঁকে তার খাবার পরিবেশন করে ,সে খাবার শেস করে কোনও রকম অর্থ পরিসধ না করে চলে যায় কিন্তু তাঁকে কেউ কিছছু বলল না।তত্তক্ষনে আমরা সেদিনের ঘটনা টি বুঝতে পেরেগেছি,যে কেন্ দুজনের খাবারের দাম দেওয়া সত্ত্বেও একজনের খাবার পরিবেশন করা হয় সেই ব্যক্তিকে ,কেন দেওয়ালে কাগজ আটকানো হয়েছিল ।ইতিমধ্যে আমার বন্ধু তিন জনের খাবারের oder দিয়ে ফেলেছে ,অয়েটারকে বলে তিনজনের খাবারের মধ্য থেকে একজনের খাব্র দেওয়ালে আটকানো হল।যদি এই পৃথিবীর প্রতিটা সক্ষম মানুষ সংকল্প করে তাহলে ,বিশ্বের কোনও প্রান্তে কোনও মানুষ অভুক্ত থাকবেনা।

রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

Dwin shikkha kobita

 

                      দ্বীন শিক্ষা

                               Najmul Hoque


ছেলে মেয়েদের দ্বীনি শিক্ষার দিতে হবে গ্যান,

অধিকাংশ অভিভাবকের নেই এইদিকে ধ্যান।


ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ,ছেলে করবে ডক্টরেট এম .এ ,বি .এ

অযথা এসব স্বপ্ন ভেস্তে যাবে দ্বীন শিক্ষা দিতে গিয়ে।


যদি আজ আমার ছেলেটা না হয় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার,

তবে কিছু বলার থাকবেনা ,যেদিন করিম হয়ে আসবে বারিস্টার।


দ্বীন শিক্ষা গরিবের শিক্ষা ,যার পরোয়া করিনা আমি,

এর চাইতে আমার ছেলের ভবিষতটা অনেক খানি দামি।


তৈরি আছেন তো কাকু বৃদ্ধাশ্রম জাওয়ার জন্য,

ষাট পেরলে জুটবে না আপনার এক মুঠো অন্ন।


তাই বলছি ছেলে মেয়েদের কিছুটা দিন দ্বীনি শিক্ষা,

অযথা বৃদ্ধ অবস্তায় করতে হবে না পেটের জন্য ভিক্ষা


দ্বীন শিক্ষা থাকলে পেতে ,সে হয়ে উঠবে একজন আদর্শ মানব,

এই শিক্ষা না দিলে তাঁর আচরন হবে বন্য পশু কিংবা দানব। 

দ্বীন শিক্ষা মানে পাঠাতে হবে মাদ্রাসায়,

এই মহান ধারণা টি লিখা আছে কথায়।

c lunguage loop print prime numbers.

#include<stdio.h> int main() { int i,n,l,u,p,sum;     printf("enter lower & upper limit");     scanf("%d%d",&a...